চাতুরি করে জামিনে মুক্ত হলেন ডিআইজি বজলুর রশীদ

জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ আর্জনের মামলায় হাইকোর্ট থেকে দেওয়া আদেশ গোপন করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে গেছেন কারা অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি- প্রিজন) বজলুর রশিদ।
এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে করা একতি আবেদন আজ (রোববার) দুদকের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে জানানো হয়েছে। হাইকোর্টে এটির শুনানি শেষে জামিন সংক্রান্ত বিচারিক আদালতের নথি দ্রুত সরবরাহ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি ডিআইজি প্রিজনের জামিন বাতিলের বিষয়ে বিচারিক আদালতে আবেদন করতেও দুদুককে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আদেশ দেন বিচারপতি বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা। এর আগে প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশীদকে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন জামিন দেন। ওই দিনই বিকেলে তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।
এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী জানান, ‘ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ হাইকোর্টের আদেশের নথি গোপন করে জামিন নিয়েছেন। বিষয়টি হাইকোর্টে নজরে আনার পর আদালত সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিন বাতিলের আবেদন করতে বলেছেন। এ ছাড়া দ্রুত মামলার নথি সরবরাহ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বিচারিক আদালত আগামী ২২ নভেম্বর আবেদনটি শুনানির জন্য রেখেছেন।‘
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদ করোনাকালীন হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন। শুনানির পর হাইকোর্ট সেই জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দেন। কিন্তু হাইকোর্টের এই আদেশ গোপন করে তিনি নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন করেন এবং বিচারক সেটি মঞ্জুর করেন। ওই দিনই তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে যান। আজ এ বিষয়টি দুদক হাইকোর্টের নজরে এনেছে।‘